নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় ডা. সাবরীনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তাঁরা হলেন- অন্যতম আসামি আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার লিফটম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও শ্যামল। তাঁরা মামলাটিতে জব্দ তালিকার সাক্ষী।
মূল বিচারক ছুটিতে থাকায় সোমবার (১৬ নভেম্বর) তাঁরা ভারপ্রাপ্ত মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর কাছে সাক্ষ্য দেন। জবানবন্দী শেষে তাঁদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
পরে বিচারক আগামী ১ ডিসেম্বর পরের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য দিন ঠিক করে দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে নয় জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান এবং খিলগাঁও থানার ওসি ফারুকুল আলম লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে ক্ষমা চান।
গত ২১ অক্টোবর মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন তাঁরা সাক্ষী হাজির করতে পারেন নি। এজন্য বিচারক তাঁদের শোকজ করেছিলেন। তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে বিচারক হাজির না চেয়ে লিখিত বক্তব্য দিতে বলেছিলেন।
এদিকে এদিন মামলাটিতে মনির হোসেন নামে রাষ্ট্রপক্ষে জব্দ তালিকার একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। মনির ঘটনাস্থলের পাশে তালাচাবি বিক্রি ও সারাই করতেন। সাবরিনাদের হাসপাতাল জেকেজি হেলথকেয়ারের পাশে ঘটনার সময় তিনি অবস্থান করছিলেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের সদস্য হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে আটজনই কারাগারে আছেন।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই বিচারক। গত ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকার মুখ্য আদালতে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার নথিপত্রে বলা হয়- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় জেকেজি হেলথকেয়ার।
‘বেশিরভাগ রিপোর্টই ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ অভিযোগে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।’
‘পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।’
এ বিষয়ক : করোনাভাইরাস : দশ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ‘শনাক্ত’