নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে হত্যার ঘটনায় ১০ জনের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) তাঁদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একইদিন (মঙ্গলবার- ১০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে করেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান- ১০ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
সোমবার (৯ নভেম্বর) আনিসুল করিমকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে একইদিন (৯ নভেম্বর- সোমবার) তিনি বরিশাল থেকে তাঁর গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এসেছিলেন।
পরে দুপুরেই তাঁকে হাসপাতালে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়- বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে মাইন্ড এইড হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে।
যেখানে দেখা গেছে- মাইন্ড এইড হাসপাতালের কর্মচারীরাই মূলত জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে হত্যা করেছে।
সন্দেহ করা হচ্ছে- আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল করিমই পরিকল্পিতভাবে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
যদিও তিনি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন- জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে এসে তিনি যখন ফরম পূরণ করছিলেন, তখন আনিসুল করিমকে হাসপাতালের কর্মচারীরা দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর তাঁদের জানানো হয়, আনিসুল করিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন।
অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে- মাইন্ড এইড হাসপাতালের কর্মচারীরা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে হত্যা করলেও মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন (করেন) তাঁর বোন ও ভাই।
সোমবার (৯ নভেম্বর) জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে হত্যাকাণ্ড নিয়ে মাইন্ড এইড হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ১৫ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ফুটেজ চলে আসে পুলিশ ও গণমাধ্যমের কাছে। একইসঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও।
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো ক্যামেস্ট্রির ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান।
এ বিষয়ক : পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল হত্যা : ১৫ জনের নামে হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার ১০