নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : কর্মস্থলে পোশাক বিধির নির্দেশ জারি করা জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রহিমকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়- ডা. তানভীর আহমেদ চৌধুরীকে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের নতুন পরিচালক করা হয়েছে।
এছাড়া সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লোপাট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর আব্দুর রহিম এক বিজ্ঞপ্তিতে তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে এবং নারীদের হিজাব পরে পর্দা মেনে চলার নির্দেশনা দেন।
তাতে বলা হয়েছিল, ‘অত্র ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অফিস চলাকালীন সময়ে মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে এবং মহিলা হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
পরদিন গণমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলেন ডা. রহিমকে। এরপর রাতেই নোটিশটি প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান আব্দুর রহিম।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুর রহিম বলেন- উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংবাদটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সকলের কাছে অনিচ্ছাকৃত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখপ্রকাশ করছি। সেইসঙ্গে গোটা জাতির কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করছি।
কার্যালয়ে পর্দা করার নির্দেশ জারির ঘটনায় আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ এনে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়। রোববার (পহেলা নভেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান নোটিশটি পাঠান। এতে তিনদিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়- ২০১০ সালে হাইকোর্ট এক আদেশে বলে, কোনও ব্যক্তিকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করা যাবে না।
এ বিষয়ক : ‘ড্রেস কোড’ বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা চেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ