নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে একই ঘটনায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আশরাফুন্নেছাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
জানা গেছে- ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট সারাদেশে ৪৮৬টি ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন করে। এতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ভাতা ও যাতায়াত বাবদ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সই জাল করে অর্থ তোলা হয়। এভাবে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট খাতে বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ওই টাকার কোনও কাজ না করেই অগ্রণী ব্যাংক, ওয়াসা ভবন শাখা হতে টাকা তোলা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে- ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৯টি কোটেশনের বিল দেওয়া হয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ওই বছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছার ভাগ্নের মালিকানাধীন রূহী এন্টারপ্রাইজ কোনও কাজ না করে ৮৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করে। কাজ না করেই তার আপন চাচাতো ভাইয়ের মালিকানাধীন সুকর্ন এন্টারপ্রাইজকে ১ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। রূহী এন্টারপ্রাইজ ও সুকর্ন এন্টারপ্রাইজের নামে বরাদ্দ ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা উত্তরা ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখার মাধ্যমে তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত- একই অভিযোগে এর আগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া আখতার ও আবু তাহের মো. সানাউল্লাহ নূরী, সহকারী পরিচালক এ কে এম রোকনুজ্জামান এবং গবেষণা কর্মকর্তা পীযূষ কান্তি দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এ বিষয়ক : দুদকের মামলায় বদির বিচার শুরু
‘পলাতক’ প্রদীপের স্ত্রী, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের চিঠি