নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : এবার ঘটেছে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনা। তাও আবার খোদ থানা ও দুই পুলিশ সদস্যের সামনেই। ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জে। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একদল যুবক দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার চিফ রিপোর্টার (প্রধান প্রতিবেদক) তারেক হাবিবকে রড, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তবে পুলিশের সামনে ওই ঘটনা ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী।
তিনি শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে বাংলা কাগজকে বলেন- না, ওখানে কোনও পুলিশ ছিল না।
একইসঙ্গে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাত ১১টার মধ্যে মামলা হবে।
এদিকে এর একদিন আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি জুলহাস হোসেনকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন : সাংবাদিক জুলহাস হত্যা : মামলা, গ্রেপ্তার দুই, মানববন্ধন
বিজয় টিভির সাংবাদিককে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে খুন
সম্পাদকীয় মত : একজন সাংবাদিক খুন ও একজন ইউএনও গুরুতর আহত
বাধ্য হয়ে জানতে চাইলে তারেক হাবিব গণমাধ্যমকে বলেন- পত্রিকার সম্পাদকের নির্দেশনায় একটি অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহ শেষে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রিকশায় করে অফিসে ফিরছিলেন তিনি। বেলা দুইটার দিকে শনির আখড়া এলাকায় পৌঁছান। এ সময় রিকশাটির গতিরোধ করেন এমদাদুল ইসলাম ওরফে সুহেল, শাওন ও জুয়েলসহ কয়েকজন। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা রড, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটানো শুরু করেন। একপর্যায়ে রিকশা থেকে টেনেহিঁচড়ে সড়কে নামিয়েও তাঁকে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তারেক হাবিবের ভাষ্য- হামলাকারীরা তাঁর পূর্বপরিচিত। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কোনও পূর্ববিরোধ নেই। সম্প্রতি তাঁদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় কোনও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলেও মনে পড়ে না। তবু কেন এই হামলা, বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। হামলার ঘটনার সময় দুজন পুলিশ সদস্য থানার পাশেই ছিলেন জানিয়ে তারেক হাবিব বলেন- হয়তো ওই পুলিশ সদস্যরা ঘটনাটি খেয়াল করেন নি। পরে হাসপাতালে ভর্তির পর পুলিশ সদস্যরা তাঁর খোঁজখবর নিয়েছেন।
জানা গেছে- দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক তারেক হাবিব পত্রিকাটিতে যোগ দিয়েছেন সাত মাস হলো। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনের অতিরিক্ত হিসেবে রাজনীতিসংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলোও করেন।
জানতে চাইলে দৈনিক আমার হবিগঞ্জের বার্তা সম্পাদক রায়হান উদ্দিন বলেন- পত্রিকায় প্রকাশিত কোনও খবরের কারণেই এ হামলা বলে তাঁরা মনে করছেন।
‘হয়তো হামলাকারীদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হয় নি। কিন্তু কোনও খবর তাঁদের পরিচিত কারও বিরুদ্ধে গেছে।’