নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক রয়েছেন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণ।
আরও পড়ুন : ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রদীপ
কালেমা পড়, তুই এবার শেষ- প্রদীপের ক্রসফায়ার থেকে ফেরা সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা
এ ব্যাপারে দুদকের পিপি মাহমুদুল হক বাংলা কাগজকে বলেন- দুদকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেপ্তার দেখাতে সোমবার (৩১ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করে দুদক। যার শুনানি হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। ওইদিন প্রদীপকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। একই মামলায় তার স্ত্রী চুমকি কারণের দেশত্যাগ বন্ধেও ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুদক পিপি আরও বলেন- দুদকের মামলা দায়েরের পর থেকে ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণ পলাতক রয়েছেন। তাঁকে এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তারা জানান- মামলা দায়েরের পর প্রথমে নগরীর সদরঘাটে এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন চুমকি। এর আগে গত ২৩ আগস্ট চুমকি কারণ ও তার স্বামী প্রদীপের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন।
দুদক সূত্র আরও জানায়- ওসি পদে থাকাকালীন ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করা অবৈধ অর্থ সরকারের চোখে বৈধ করার দায়িত্ব ছিল তার স্ত্রী চুমকি কারণের ওপর। অপরদিকে, এক বছর অনুসন্ধান করে প্রদীপ ও চুমকির তিন কোটি ৯৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদকের তদন্ত কমিটি।
২০১৮ সালে দুদকের তদন্ত কমিটি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্ত শুরু করেন। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হলেও চুমকি তা জমা দেন ২০১৯ সালের ১২ মে।
প্রসঙ্গত, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলা করার দিনই গত ৫ আগস্ট টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। পরদিন কক্সবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।