নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি ও নড়াইলের ‘জামাইবাবু’ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (মুখার্জি) মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েছেন নড়াইলবাসী।
তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, মাশরাফির বাবা গোলাম মর্তুজা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইলের পৌর মেয়র মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জান।
এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন নড়াইল জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আরেফিন রানা, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক দ্যানিয়েল সুজিত বোস, জেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা পনিয়েল এস বোস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মিম, সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জান পলাশ।
তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গালিব সতেজসহ প্রণব মুখার্জির শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
মঙ্গলবার (পহেলা সেপ্টেম্বর) সকালে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদ্রেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করা হয়। একইসঙ্গে সমবেদনা জানানো হয় তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও।
প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রথম ও শেষবারের মতো শ্বশুরবাড়ি নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে আসেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট শুভ্রা মারা যান।
মস্তিকে অস্ত্রোপচারের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নয়াদিল্লির আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে মারা যান প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
জীবদ্দশায় প্রণব ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, পিভি নরসিমা রাও এবং মনমোহন সিংয়ের আমলে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। দেশের ১৩তম রাষ্ট্রপতিও ছিলেন তিনি।
প্রণব মুখোপাধ্যায় ক্ষমতা থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০১৯ সালে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’ উপাধি লাভ করেন। এছাড়া পদ্মবিভূষণ পদকেও ভূষিত হন তিনি।