নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : রিজেন্ট হাসপাতালের সত্বাধিকারি মো. শাহেদ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪৩ দিন হলো (গত ১৫ জুলাই থেকে আজ বুধবার ২৬ আগস্ট পর্যন্ত)। আর এ সময়ের মধ্যেই তার জন্য মঞ্জুর হয়েছে ৬১ দিনের রিমান্ড।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- এতো, এতো যে প্রতারণা; এর জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট জিজ্ঞাসাবাদ। এরই অংশ হিসেবে প্রতারক মো. শাহেদকে একের পর এক রিমান্ডে পাঠানো হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে- ১৫ জুলাই (বুধবার) গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন ১৬ জুলাই ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয় মো. শাহেদকে। ২৬ জুলাই পাঠানো হয় ৩৮ দিনের রিমান্ডে। আর ১০ আগস্ট মো. শাহেদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর হয় ৭ দিন। সর্বশেষ আজ ২৬ আগস্ট (বুধবার) তাকে দেওয়া হলো ৬ দিনের রিমান্ড।
প্রসঙ্গত, মো. শাহেদের গ্রেপ্তারের নয়দিন আগে গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে তারই মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন ও করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। প্রতারক শাহেদের নানা অনিয়মের ঘটনায় গত ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তভার প্রথমে গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি)’র হাতে হস্তান্তর করা হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে পরে এর তদন্তভার যায় র্যাবের হাতে। এছাড়া তার নামে অস্ত্র মামলাসহ আরও মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : পাঁচ মামলায় ৩৮ দিনের রিমান্ডে শাহেদ
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে রিজেন্টের শাহেদ
অস্ত্র মামলায় জামিন নামঞ্জুর, তবুও রিমান্ডে প্রফুল্ল শাহেদ!