নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : গত পহেলা এপ্রিলই শুরু হওয়ার কথা ছিল উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কথা বলে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য ওই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া তেমন ‘হীন’ কাজ ছিল না। তবে এখন পর্যন্ত (১১ আগস্ট) ঘুম ভাঙ্গে নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। অথচ গত ৩১ মে থেকে দেশে চালু হয়েছে সবকিছু; খুলে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহনও। দেশের অর্থনীতিসহ সার্বিক ক্ষতির কথা বিবেচনায় এনে এমন কাজ করা হয়েছে।
এদিকে ইতোমধ্যে যেখানে গার্মেন্টও খুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলায় তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনায় এনে গার্মেন্ট খুলে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা আমাদের ভবিষ্যৎ, তাদের কথা বিবেচনায় এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ শিক্ষার সব কার্যক্রম শুরু করা উচিত।
জানা গেছে- ইতোমধ্যে বাংলা কাগজসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় টনক নড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এরই অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতেই শুরু হতে পারে এইচএসসি। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ছাড়াও যে কোনও পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার হলগুলোতে প্রতিটি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসানোর কথা চিন্তা-ভাবনা চলছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনে আরও দূরত্ব বজায় রেখেই ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সূত্রমতে, এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললে বড় সেশনজটে পড়বেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের জীবন থেকে ঝরে যাবে গুরুত্বপূর্ণ সময়। ফলে সরকারি চাকরিতে পিছিয়ে পড়বেন তাঁরা। তাছাড়া আয়ুষ্কাল বিবেচনায় এনেও যে কোনও মানুষের ক্ষুদ্র সময়টুকুও অত্যন্ত মূল্যবান। যা ব্যবহৃত হতে পারে তাঁর জীবন গঠনে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা বাংলা কাগজকে বলেন, বর্তমানে সবকিছু সচল হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষদিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুনভাবে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এজন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নতুনভাবে কেন্দ্র বাড়িয়ে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।