নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : সভা হয়েছে ভার্চুয়ালি। তাও মাত্র তিন-তিনটি। আর এই তিনটি সভার খরচই দেখানো হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে।
জানা গেছে- করোনাকালে বিশ্বজুড়েই অনলাইনে বাড়ছে কার্যক্রম। সভা-ক্লাস চলছে এ মাধ্যমেই (অনলাইন)। সরকারি-বেসরকারি দিক-নির্দেশনাও আসছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। যেখানে বিনামূল্যে সফটওয়্যার (জুম বা এ জাতীয়) নামিয়েই (ডাউনলোড) করা যাচ্ছে সব। আর ইন্টারনেটে তো তেমন কোনও খরচ নেই বললেই চলে।
অথচ এমন সভা করেও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)’ তিনটি সভার খরচ দেখিয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেওয়াদের প্রতিজনের ক্ষেত্রেই স্টেশনারি (খাতা, কলম ও প্যাড) বাবদ বিল দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা করে।
সূত্র আরও জানায়- এর আগে ঘরে বসে সভা করেও অস্বাভাবিক বিল দেখিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। যেখানের প্রতি সভায় আইএমইডি খাবারের বিলই দেখিয়েছে ৪ লাখ টাকা করে। আর স্টেশনারি বাবদ (খাতা, কলম, প্যাড) খরচ দেখিয়েছে ১৪ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে জানার জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
পরে আইএমইডির মহাপরিচালক আফজাল হোসেনকে ফোন দেওয়ার পরও তিনি রিসিভ করেন নি।