নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় আরবি পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী। প্রায় তিনমাস আগে উপজেলার থালতামাজ ইউনিয়নে হাফেজ রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে আরবি পড়তে গেলে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। বর্তমানে ওই শিশু প্রায় ১০ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্ত্বা। ঘটনা জানার পরপরই শুক্রবার (১০ জুলাই) দুপুরে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করেছেন শিশুটির বাবা।
জানা গেছে- সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের কাছে শিশুটিকে নিয়ে যান তাঁর বাবা-মা। চিকিৎসক অনুমান করেন শিশুটি অন্তঃস্বত্ত্বা। ওই সময় শিশুটিকে আলট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য বলেন চিকিৎসক। সে সময় চিকিৎসকের পরামর্শে নন্দীগ্রাম হেলথ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয় তাঁর। তাতে দেখা যায়- শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ছাত্রীর সহপাঠী, অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টির ব্যাপারে নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বাংলা কাগজকে বলেন, হাফেজের শিশু ধর্ষণ ও অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সত্য।
এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বাংলা কাগজকে জানান, শিগগিরই হাফেজকে গ্রেপ্তার করা হবে।