নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : আসছে পবিত্র ইদুল আজহায় চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের লাভের কথা বিবেচনায় এনে কাঁচা চামড়া ও লবণযুক্ত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এতে ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে চামড়া ক্রয় ও সংরক্ষণ করার সক্ষমতা অর্জন করবেন।
সোমবার (২২ জুন) চামড়া শিল্প উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন; শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার; শিল্প সচিব কে এম আলী আজম; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া; বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন; জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহেদ আলী; আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী; অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রমেশ বিশ্বাস; বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ; বাংলাদেশ ফিনিসড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন অংশ নেন।
সভায় জানানো হয়- আসন্ন পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মসজিদের ইমাম, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী, চামড়া ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের চামড়া ছড়ানো ও সংরক্ষণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয় ও লেদার বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের মাধ্যমে ঈদের কয়েকদিন পূর্ব হতে টেলিভিশনে জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সালমান এফ রহমান ট্যানারি শিল্পের জন্য বাজেট সহায়তা নিশ্চিত করতে অর্থ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, হাজারিবাগে ট্যানারি মালিকদের জমি হতে রাজউকের ‘রেড জোন’ প্রত্যাহার করা হলে মালিকদের ঋণ পেতে সুবিধা হবে। ট্যানারি মালিকদের জন্য ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে আসন্ন ইদুল আজহায় চামড়ার পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলে তিনি আশঙ্কা করেন।