নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : অংসখ্য মানুষকে কান্নার নোনাজলে ভাসিয়ে ওপারে চলে গেছেন বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। শনিবার (২০ জুন) সকাল দশটার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। তিনি এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কামাল লোহানীর মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে তাঁর ছেলে সাগর লোহানী বাংলা কাগজকে বলেন, বাবার ফুসফুস ও কিডনিতে সমস্যা অনেক দিন ধরে। শুক্রবার (১৯ জুন) তাঁর করোনা পজেটিভ আসে।
এর আগে গত ১৮ জুন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারও একমাস আগে গত ১৭ মে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে তাঁকে একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
সাগর লোহানী জানান, করোনায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও ফুসফুস-কিডনির জটিলতার সঙ্গে হৃদরোগ-ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও ভুগছিলেন কামাল লোহানী।
কামাল লোহানী হিসেবে পরিচিত হলেও, তার পুরো নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার খান সনতলা গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবা আবু ইউসুফ মোহাম্মদ মুসা খান লোহানী। মা রোকেয়া খান লোহানী।
কর্মজীবনে কামাল লোহানী দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু করেন। এরপর আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ ও দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
দুইবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন এই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ছিলেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি এবং ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক।
কামাল লোহানী ২০১৫ সালে সাংবাদিকতায় লাভ করেন একুশে পদক।