নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা আগের দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) আরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের বরাত দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের সংক্রমণ বুধবারের চেয়ে কমেছে। তাঁকে নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। শারীরিক অবস্থা গতকালের চাইতে আরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডা. জাফরুল্লাহ নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করছেন। অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না। গলার ব্যথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, তবে উন্নতির দিকে। একটু একটু কথা বলতে পারেন এবং ইশারায় এবং লিখে তিনি কথার উত্তর দেন। কারণ চিকিৎসকরা তাকে জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত কথা বলতে নিষেধ করেছেন।
মিন্টু জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস ইনফেকশন নাই। নতুন ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন কমছে। তাঁকে আরও বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মানসিকভাবে অনেক উজ্জীবিত জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি। করোনাভাইরাসের মহামারিতে অসহায় দেশবাসীর খোঁজ খবর নেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশবাসীর কাছে দ্রুত সুস্থ্যতার জন্য দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান মিন্টু।
গত ১৩ জুন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর টেস্টের রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এন্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার।
মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, পরীক্ষায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। আর পরীক্ষায় তার দেহে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
গত ৫ জুন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি ঘটে। ওই দিন থেকেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি, অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হয়।