নিজস্ব প্রতিবেদন, বাংলা কাগজ : খেলাপি হলেও ব্যাংকের ভালো গ্রাহক হওয়া যাবে। তবে এসব গ্রাহক ১০ শতাংশ সুদ ফেরত পাবেন না। টাকার পরিবর্তে তাঁরা পাবেন পুরস্কার ও সম্মাননাসহ আরও নানান স্বীকৃতি। তাঁদেরকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যা একইদিন ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরারব প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাস শেষে বিগত ১২ মাসের ভালো ঋণ গ্রহীতার থেকে আদায়কৃত সুদ থেকে ১০ শতাংশ ফেরত প্রদান করতে হতো। এখন ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ সর্বোচ্চ নির্ধারণ হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোনও গ্রাহক ভালো ঋণ গ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হলে তিনি গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদ ফেরত প্রাপ্য হবেন। তবে ব্যাংকগুলোকে ভালো ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ভালো গ্রাহক হতে হলো পুরো এক বছর কোনো গ্রাহকের ঋণ অশ্রেণিকৃত অবস্থায় থাকতে হবে। ১২ মাসের কিস্তি সময়মতো ফেরত দিতে হবে। ঋণের যেসব শর্ত, তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
যৌক্তিক কারণে কোনো গ্রাহকের ঋন পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করা হলেও তাকে ভালো গ্রাহক হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। তবে এক বছর তাঁকে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে অশ্রেণিকৃত থাকতে হবে। ঋণের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
এমন ভালো গ্রাহকদের ঋণের তথ্য সিআইবিতে ভালো গ্রাহক হিসেবে জমা দিতে হবে। তিন বছর বা এর বেশি সময় ধরে কেউ ভালো গ্রাহক হলে তাদের ছবি, গ্রাহক পরিচিতি সমন্বয়ে ব্যাংক বিশেষ বুকলেট ও ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে পারবে। ব্যাংক বার্ষিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভালো গ্রাহকদের পুরস্কার প্রদান করে তাদেরকে সম্মাননা জানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের র্কমকর্তারা বলছেন, সুদ হার ৯ শতাংশ করার পর সুদ ফেরত দেয়ার নির্দেশনা অযৌক্তিক। এতে ব্যাংকগুলোর আয়ে চাপ পড়বে। এজন্য টাকার বদলে ভালো গ্রাহকদের সম্মান দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।